রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
ছাত্র-জনতার বিপ্লব পরবর্তী গান- “৩৬ জুলাই দেখলো সবাই” নড়াইলে পুলিশের পৃথক অভিযানে গ্রেফতার ৩ পাবনায় বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রতিপক্ষ কর্তৃক অপরিপক্ক ধান কর্তন পাবনায় কিশোর কন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নড়াইলে ধানখেত থেকে ১ শিশুর মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক রাণীশংকৈলে মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভা সম্পন্ন পীরগঞ্জে ছাত্র-জনতার ৩ দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে নবীন বরণ সম্পন্ন কিশোরগঞ্জে লিশাদ হত্যার বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন ট্রাক চাপায় সাংবাদিক আহত- ট্রাক আটকাতে পথচারী নিহত কুমিল্লায় র‌্যাব এর অভিযানে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক আসামে সার্ক শীর্ষ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মহাসম্মেলন সম্পন্ন রাণীশংকৈলে কৃষকেদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ রাজশাহী রেসিডেন্সিয়াল কলেজে নবীন বরণ ও সংবর্ধনা পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীকে জোড়পূর্বক ছাড়পত্র প্রদান পাবনায় ঘর বাড়ী উচ্ছেদ করে যুবদল নেতার জমি দখল ফুলবাড়ীতে সাংবাদিকদের সাথে পুলিশের মত বিনিময় কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩ দিনপর যুবকের লাশ উদ্ধার, আটক-১

লক্ষ্মীপুরে কৃষি জমি কমায় শঙ্কায় কৃষক

আবীর আকাশ- লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরে একদিকে নদী ভাঙ্গন অন্যদিকে আবাসিক এলাকা গড়ে ওঠার কারণে দিনকে দিন ফসলি জমি কমে যাওয়ায় কৃষক সংখ্যার মধ্যে পড়েছেন। তারা কৃষি জমির অভাবে তোরই তরকারি ধান পাট সয়াবিন ভুট্টা গম এমন কি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করতে পারছেন না। ধার দেনা করে ফসল করলে নদী ভাঙ্গনে তাবলিন হয়ে যায়। এজন্য অনেকেই কৃষি আবার থেকে সরে এসেছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর কমলনগর রামগতি ও চন্দ্রগঞ্জ উপজেলায় মাছ চাষের নামে প্রতি বছর অসংখ্য পুকুর-দিঘি খনন, নতুন ইটভাটা স্থাপন, ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করাসহ নদী ভাঙনের কারণে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু কৃষি জমি। যার ফলে অচিরেই বেকার হয়ে পড়বে অসংখ্য কৃষি শ্রমিক। এছাড়া ফসলি জমিতে পরিকল্পনাহীন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে।

জেলা কৃষিসম্প্রসারণ দপ্তরের তথ্য অনুসারে, লক্ষ্মীপুর ৪২টি কৃষি ব্লকে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১৭৫১১ হেক্টর। এরমধ্যে এক ফসলী জমি ৬৯৯৩ হেক্টর. দুই ফসলি জমির পরিমাণ ৮৬২৮ হেক্টর, তিন ফসলি জমির পরিমাণ ২১৮১ হেক্টর, তিনের অধিক ফসলী জমি ২৫ হেক্টর, আবাদযোগ্য পতিত জমি ২৪৫ হেক্টর।

বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে- কিছু চিহ্নিত মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া সারাবছর বিভিন্ন উপায়ে কৃষিজমি কিনে ব্যবসা করছে। ফলে প্রতিনিয়ত জমি কমছে। তেয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন, চরশাহী, দিঘলি, কুশাখালি ভবানীগঞ্জসহ চরমার্টিন ঘুরে জানা গেছে, মাটি ব্যবসায়ীদের কারণে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে এসব এলাকায় দ্রুত হারে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। এটাকে খাদ্য উৎপাদনের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করছেন তারা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধানে দেখা যায়- প্রতি বছর প্রায় ৫০ থেকে ১‘শ বিঘা কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে অসংখ্য জলাভূমি ও সরকারী খাল। এসব ভরাট করে বসত বাড়ি নির্মাণসহ ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইটভাটায় ইট তৈরির কাজে বছরে ১ হাজার ১৫‘শ বিঘা জমি কৃষিকাজের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে এই উপজেলাসমূহে। প্রতিবছর অবকাঠামোগত উন্নয়নের নামে তৈরি হচ্ছে, বসতবাড়ি দালান, কাঁচাপাকা সড়ক, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, দীর্ঘ সেতু ইত্যাদির কারণেও কমছে ফসলি জমি।

লক্ষ্মীপুরে কৃষি জমির হ্রাস সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনৈতিক এক নেতা বলেন- শুধু এ জেলাতেই নয় সারাদেশেই কৃষি জমির পরিমাণ দিনকে দিন কমছে। শুধুমাত্র গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের কারণে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে তা কিন্তু নয়, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে উপার্জনমুখী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন প্রতিটি গ্রামে হাটবাজার ও স্কুল তৈরি হয়েছে। এছাড়া গ্রামের উন্নয়নে নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে এসব কারণেও জমির পরিমাণ কমছে। আবার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের নতুন ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। আগে যেখানে পায়ে হেঁটে চলতে হতো। এখন সেখানে সড়ক তৈরি হয়েছে। রাজধানীর সাথে সড়ক পথে বর্তমান সরকারের সময়ে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ফলে কিছু জমিতো কমতেই পারে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন- বিগত সময়ে উপজেলার মাসিক সমন্বয় মিটিং এ মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়। আমরা কৃষি জমি রক্ষায় সরকারি আইন বাস্থবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন ফসলি জমি রক্ষার্থে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে খুব কম সময়ের মধ্যে কৃষি জমি চলে যাবে আবাসিক ও ইটভাটার দখলে। এতে করে ভূমি খেকো ও বালু উত্তোলনকারীদের রাজত্ব হলেও কৃষি খাতে নেমে আসবে বড় ধরনের বিপর্যয়। দ্রুত বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বাংলাদেশকে পড়তে হবে খাদ্য বিপর্যয়ের মুখে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)

বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।

আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে -মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com Desing & Developed By Hostitbd.Com